ঢাকা, ২৫ নভেম্বর ২০২৫: তিন দফা দাবি আদায়ে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে টানা তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন। এ কর্মসূচির কারণে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মবিরতি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত। দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনের ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।
তিন দফা দাবি কী কী?
- সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি লেভেল পদ হিসেবে বিবেচনা করে ১১তম গ্রেড প্রদান করা।
- শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
- ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন করা।
“গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তাই সারা দেশের সহকারী শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান—ন্যায্য দাবি আদায়ে কর্মসূচি সফল করুন।”
অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কেবল স্নাতক ডিগ্রি নিয়েই ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতকের পাশাপাশি সি-ইন-এড/বিএড/ডিপিএড কোর্স করেও এখনো ১৩তম গ্রেডে আটকে আছেন।
পরিসংখ্যান এক নজরে
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৬৫,৫৬৭টি
- মোট শিক্ষক: ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি
- কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী: প্রায় সব সহকারী শিক্ষক
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন,
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার বলেন,
গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করলেও সহকারী শিক্ষকদের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সহকারী শিক্ষকদের ভাষ্য:
দাবি আদায় না হলে আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।


