ঢাকা

স্থায়ী কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানের নাম আলোচনায়

ফুলবাড়ীয়া টুডে ডেস্ক

প্রকাশিত: বুধবার, জুন ১৯, ২০১৯


জাতীয় কাউন্সিলের তিন বছর তিন মাস পর বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির শূন্য দুটি পদে দুইজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরও দলটির স্থায়ী কমিটিতে তিনটি পদ খালি রয়েছে। কারা আসছেন এই পদগুলোতে? এ নিয়ে বিএনপির ভেতরে-বাইরে চলছে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানের নাম আলোচনায় রয়েছে।

অন্য যাদের নাম নিয়ে গুঞ্জন চলছে তারা হলেন- বিএনপির বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু এবং মোহাম্মদ শাহজাহান।
তবে বিএনপির অনেক নেতা প্রত্যাশা করেছিলেন যে, আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ শূন্য দুটি পদে জায়গা পাবেন। তবে সেটা না হওয়ায় নোমান ও হাফিজের কর্মী-সমর্থকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি দলটি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই সময় থেকেই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে দুটি পদ শূন্য ছিল।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুব বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও ফাঁকা রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এসব পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে বুধবার স্থায়ী কমিটির শূন্য দুটি পদে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে পদ রয়েছে মোট ১৯টি। গত কাউন্সিলের পর স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে ১৭ জনের নাম ঘোষণা হয়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ছিল সেখানে।
তবে এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ ও তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে এখন দলের স্থায়ী কমিটির তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদেও এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ১৬ মার্চ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না- সেবিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
এবিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কাউন্সিলের পর আমাদের কমিটিগুলো পুনর্গঠিত হয়েছে, কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে কয়েকটি শূন্য পদ রয়েছে। আমাদের কয়েকজন বরেণ্য নেতা মারা গেছেন। ওই শূন্যপদগুলোর মধ্যে আজকে আমি দুটিতে দুইজনের নাম ঘোষণা করছি।

অপরদিকে ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ওই দিনই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ তিন বছর। তবে কোনো কারণে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হলে বর্তমান কমিটিই দায়িত্ব পালন করে যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, কবে নাগাদ কাউন্সিল হবে সেটা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।

সুত্রঃ বাংলাদেশ টুডে (bangladeshtoday)