মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকা ও আসপাশের এলাকায় চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার সকালের ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী কম্পনটি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। এতে শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত ও ৬০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। একের পর এক ঝাঁকুনিতে রাজধানীজুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে প্রথম বড় কম্পনটির উৎসস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। অগভীর এই ভূমিকম্পের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
পরদিন শনিবার (২২ নভেম্বর) ফের তিনবার কম্পন অনুভূত হয়:
- সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩.৩ মাত্রা (নরসিংদী)
- সন্ধ্যায় ৪.৩ মাত্রা (নরসিংদী)
- একই দিন সন্ধ্যায় ৩.৭ মাত্রা (ঢাকার বাড্ডা এলাকা)
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ধারাবাহিক মৃদু ও মাঝারি কম্পনগুলো কোনো বড় ভূমিকম্পের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে ঢাকা অঞ্চলে ভূকম্পের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদিকে গুগল বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। মোবাইলে হঠাৎ দেখা যাচ্ছে লাল রঙের সতর্কবার্তা: “ভূমিকম্পের সতর্কতা: ঢাকা বিভাগ ভূমিকম্প”
রাজধানীবাসী এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে রাতে ঘরে ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা আগামী কয়েক দিন আরও আফটারশকের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।


