সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯

আজ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’


২৫ মার্চের গণহত্যা স্মরণে আজ সোমবার রাতে এক মিনিটের জন্য থেমে থাকবে বাংলাদেশ। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ তথা ‘নীরবতা পালন’ কর্মসূচি।
কেপিআইভুক্ত এলাকা (জরুরি স্থাপনা) ও চলমান যানবাহন ছাড়া সারাদেশের মানুষ এ সময় দাঁড়িয়ে ও সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে নীরবতা পালন করবে। গোটা জাতি গভীর শ্রদ্ধা আর অবনতমস্তকে স্মরণ করবে সেই মানুষদের, যারা একাত্তরের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে পাকিস্তানিদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগমুহূর্তে ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় কালরাতে পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার নজির স্থাপন করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সেই রাতের শহীদদের স্মরণে সোমবার পালিত হবে জাতীয় গণহত্যা দিবস।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এর পর থেকেই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মেতে উঠেছিল বাঙালি নিধনযজ্ঞে। পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতারের আগমুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন-প্রতিরোধের অগ্নিস্ফূলিঙ্গ। পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিরোধ করতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এগিয়ে আসে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর বাঙালি সদস্যরাও।

এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর ৩০ লাখ শহীদের সুমহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় আসে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন