ফুলবাড়ীয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফুলবাড়ীয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

ফুলবাড়িয়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, মা আটক

ফুলবাড়িয়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, মা আটক

নাজমা বেগমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা
ফুলবাড়ীয়ায় মাহমুদা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দাওসাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মা নাজমা বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।



ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, কিছুটা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত নাজমা বেগমের একাধিক বিয়ে হয়। গত পাঁচ বছর আগে জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাও এলাকার রমজান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রমজান আলী মাদক ও জুয়া খেলায় আসক্ত হওয়ায় তিন মাসের গর্ভে থাকা শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।


বৃহস্পতিবার সকালে মাহমুদা আক্তার পাশের বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ করেই নাজমা বেগম দৌড়ে নিজের মেয়েকে মাটিতে ফেলে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা নাজমাকে শিকলে বেঁধে থানায় খবর দেন।

মোল্লা জাকির হোসেন আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মা নাজমা আক্তারকে আটক করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

ফুলবাড়ীয়ায় টিসিবির মনগড়া তালিকা : কার্ডধারীদের ভোগান্তী

ফুলবাড়ীয়ায় টিসিবির মনগড়া তালিকা : কার্ডধারীদের ভোগান্তী

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা মনগড়া তালিকা করে টিসিবির পন্য বিতরণ করেছেন। মনগড়া তালিকার কারনে কোন কার্ডে ব্যবকার করা হয়নি ছবি।

এক ওয়ার্ডের কার্ডধারীকে অন্য ওয়ার্ডে তালিকা ভুক্তিসহ এক মেম্বারের দেয়া নাম তালিকা ভুক্ত হয়নি। মনগড়া তালিকার কথা স্বীকার করে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবু তাহের বলেন, তালিকা করতে আমাদের ভূল ক্রটি হয়েছে। পরবর্তীতে টিসিবি পন্য বিতরণের আগে কার্ডে ছবি লাগানোর কথা বলেন তিনি। মনগড়া তালিকায় কার্ডধারীরা হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


সোমবার (২১ মার্চ) এনায়েতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০ টা থেকে ট্রাকে করে পন্য বিতরণ শুরু করা হয়।

উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে ১৪শ ৪৪ টি টিসিবি কার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের ৫০ টি করে কার্ড দেয়ার পর বাকী কার্ড চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিতরণ করে তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেন। প্রতিটি কার্ডে কার্ডধারীদের ছবি থাকার কথা থাকলেও একটি কার্ডেও ছবি ছিল না। অধিকাংশ কার্ড ঘষামাঝা। এক ওয়ার্ডের কার্ডধারীকে অন্য ওয়ার্ডে তালিকা ভ’ক্ত করা হয়েছে। টিসিবি পন্য বিতরণের সময় নাম খোজতে সময় বেশি লাগায় কার্ডধারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহানের দেয়া ১৭/১৮ জনের নামের তালিকা ভুক্তি না হওয়ার ক্ষোভে তিনি বিতরণ স্থলেই আসেননি। ঐ মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৭৫৬ নং কার্ডধারী আ: আউয়াল জানান, তার বাড়ী সোয়াইতপুরের ৫ নং ওয়ার্ডে। তিনি সহ তার বাড়ীর ৫ টি কার্ড ৪ নং ওয়ার্ডে বলে তালিকার ভুক্তি করা হয়েছে। টিসিবি পন্য নিতে গিয়ে তারা বেশ হয়রানী শিকার হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। লাইনে মহিলার হাতে একের অধিক কার্ড ধরিয়ে দিয়ে পন্য উত্তোলন করতে দেখা গেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান , প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব সময়োপযোগী উদ্যোগকে মনগড়া তালিকা করে যারা বিতর্কিত করেছেন তারা কখনও এ সরকারের ভাল চায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে অন্যরা সাবধান হবে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও তদারকি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবশ্যই কার্ডে ছবি থাকা উচিত ছিল। এক দিকে ছবি নাই অপর দিকে এক ওয়ার্ডের কার্ডারীকে অন্য ওয়ার্ডে তালিকা ভুক্ত করায় কার্ডধারীদের সময় লেগেছে বেশি।

চেয়ারমান (ভারপ্রাপ্ত) আবু তাহের জানান, তালিকা করতে আমাদের কিছুটা ক্রটি হয়েছে। পরবর্তীতে টিসিবি পন্য বিতরণের আগে কার্ডে ছবি লাগানোর কথা বলেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুল করিম জানান, তিনি অভিযোগগুলো পেয়েছেন। ওখানে ট্যাক অফিসার আছে তাকে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। মেম্বারের দেয়া নাম তালিকা ভুক্তি হয়নি এটা দূ:খজনক।

সুত্রঃ Mymensingh Live

বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

ফুলবাড়ীয়ায় শিক্ষককে থাপ্পর দেয়ায় অভিভাবক অবরুদ্ধ

ফুলবাড়ীয়ায় শিক্ষককে থাপ্পর দেয়ায় অভিভাবক অবরুদ্ধ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্টটাইম শিক্ষক আকরাম হোসেনকে বিদ্যালয়ে থাপ্পর দেয়ার ঘটনায় এক শিক্ষার্থী অভিভাবক মামুনকে তিন ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ মার্চ) সাড়ে ১২ টার দিকে শিক্ষককে নাজেহালের ঘটনা ঘটে।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন শিক্ষককে থাপ্পর দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিক্ষককে থাপ্পর দেয়া অভিভাবককে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে বাইরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ মার্চ) সাড়ে ১২ টার দিকে ১০ম শ্রেনীতে ক্লাশ নিতে যান সহকারী আকরাম হোসেন। পড়া না শেখার বিষয়ে শিক্ষার্থী মেহরাব আলীকে শাসন করতে গেলে দৌড়ে বাড়ীতে গিয়ে অভিভাবককে জানায়। ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবক মামুন বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক আকরাম হোসেনকে চড়থাপ্পর দিয়ে নাজেহাল করেন। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ঐ অভিভাবককে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে ৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পলাশ বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

মহড়ায় নিহত নারীর দুই সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলো সেনাবাহিনী

মহড়ায় নিহত নারীর দুই সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলো সেনাবাহিনী

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ায় গাছের গুঁড়ি ছিটকে সাজেদা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের দুই সন্তান লেখাপাড়ার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে ওই পরিবারকে একটি দুধেল গাভি দেওয়া হয়েছে।


নিহত সাজেদা খাতুন উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কালাকান্দা গ্রামের দিনমজুর আজহারুল ইসলামের স্ত্রী। তার সাদিয়া মিতু (১২) ও সুমাইয়া আক্তার সেতু (৮) নামের দুই শিশুসন্তান রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জিওসি মেজর জেনারেল শহিদুল হক গাভিটি পরিবারের হাতে তুলে দেন।

এর আগে রোববার (১০ জানুয়ারি) উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কালাকান্দা গ্রামে মহড়া চলাকালীন এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া চলাকালীন গাছের গুঁড়ি ছিটকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কালাকান্দা গ্রামে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া চলছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ট্যাংক মহড়ায় গাছের একটি গুঁড়ি ছিটকে পড়ে সাজেদা খাতুন নামের ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় ।

গাভি বুঝিয়ে দেওয়ার পর জিওসি মেজর জেনারেল শহিদুল হক বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় সেনাবাহিনীপ্রধান দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এই পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার আজীবন খরচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বহন করবে, এই বার্তাটি পৌঁছানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। আমরা জেনেছি পরিবারটি খুবই অসহায়। তাদের কিছু সহযোগিতা করতে বাছুরসহ একটি দুধেল গাভি উপহার হিসেবে দিলাম। এতে তারা আর্থিকভাবে কিছুটা উপকৃত হবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের সবসময় খোঁজখবর রাখবো। তাদের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর নিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের দিয়ে যাচ্ছি।’

এসময় সাভার ক্যান্টনমেন্ট চিফ (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ) কর্নেল মনিরুজ্জামান, কমান্ডিং অফিসার (ট্যাংক রেজিমেন্ট) লে. কর্নেল মাসুদ, ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, ইউজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ছিদ্দিক, থানার ওসি জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

সেতু নয়, যেন মরণ ফাঁদ

সেতু নয়, যেন মরণ ফাঁদ

সেতুর মাঝখানে স্লাব ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রডগুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এজন্য সেতু দিয়ে চলে না কোনো যানবাহন। শুধু পায়ে হেঁটে মানুষের চলাচল রয়েছে। কেউ যদি রিকশা বা ভ্যান সেতুটি দিয়ে পার করতে চান তাহলে কমপক্ষে চারজন লাগে রিকশা বা ভ্যান সেতুর ওপারে পৌঁছে দিতে।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। কেশরগঞ্জ থেকে গারোবাজারে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম এই সেতু।


দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন সেতুর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। জরুরি ভিত্তিতে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির। তাই, সেতু সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।



বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

ফুলবাড়ীয়ায় শ্রমিক সংকট নিজেরাই কাটছে নিজের ক্ষেতের ধান

ফুলবাড়ীয়ায় শ্রমিক সংকট নিজেরাই কাটছে নিজের ক্ষেতের ধান

মাঠ ভরা পাকা ধান প্রচন্ড রোদ । ধান কাটার শ্রমিকের অভাব । নিজেদের ধান নিজেদেরই কাটতে হচ্ছে । তাই তো কাস্তে হাতে ধানের মাঠে কৃষক । রোজা আর খড়তাপে  ক্লান্ত অবসন্ন শরীর , তবুও শরীর থেকে ঝড়ছে ঘাম। ঘামের লোনা পানিতে শরীর লবণাক্ত।এমনি অবস্থায়ও  বাড়ীর আঙ্গীনায় নতুন ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত  ফুলবাড়ীয়ার কৃষাণ কৃষাণীরা । উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ধান কাটতে ব্যস্ত বসে নেই কৃষাণীয় । লকডাউন থাকায় দূর দূরান্ত থেকে আসতে পারছে না ধান কাটার শ্রমিক । এছাড়া যে কোন সময় তেড়ে আসতে পারে কাল বৈশাখী ঝড় এ আতংকে কৃষক তাদের  নিজেদের ক্ষেতের ধান নিজেদেরই কাটতে হচ্ছে।  কৃষককে রোজা রেখে অবসন্ন দেহে সকাল বেলা মাঠে যেতে হচ্ছে কাস্তে হাতে । ধান কাটা মাড়াই শুকানো ও সংরক্ষণে কৃষণীরাও ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে । ঘরের পিছনে বাড়ীর আঙ্গীনায় মৃদু বাতাসে বোরো ধান পরিস্কার করছে তারা । এবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বাম্পার ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস । এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হযে গেছে। শ্রমিকে অভাবে ধান কাটতে বিলম্ভ হচ্ছে । উপজেলার নাওগাও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, আমি এ বছর ৩২ কাঠা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি কামলার (শ্রমিক) এর অভাব তাই তো স্কুল পড়–য়া ছেলেকে সাথে নিয়েই  নিজেদের ক্ষেতের ধান কাটতেছি। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ধান কাটার শ্রমিকে সংকট থাকায় ধান কাটতে দেরী হচ্ছে নিজেই কাটছি ধান ।


বড়বিলা পাড়ের কৃষাণী খুকী আক্তার বলেন, কামলা (ধান কাটার শ্রমিক) পাওয়া যায় না ,এক কাঠা ক্ষেতের ধান কাটতে ৮০০ টাকা লাগে  ,বেশী দামে কামলা রাখছে খরচ পোষায় না তাই তো আব্বুর কাজে সহযোগীতা করছি ।  বৈলাজান গ্রামের দিন মূজুর কামাল হোসেন বলেন,  যে রোদ তার মধ্যে আবার রোজার দিন তাই দিন মুজুরে কাজ করলে পোষায় না, তাই তো চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছি ,প্রতি কাঠা ধান কাটছি ৭০০থেকে ৮০০ টাকায় বাপ ছেলে দুইজনে সাড়াদিনে ৩/৪ কাঠ জমির ধান কাটতে পারি ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর উপজেলায়  ২১হাজার ১২৫হেক্টর জমিতে  বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে যা থেকে  ১লক্ষ ২৯ হাজার৯১৮ মেঃ টন ধান উৎপাদনের আশা হচ্ছে ।  বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসের কারনে কিছু জমিতে চিটা হলেও  বাম্পার ফলসের সম্ভবনা রয়েছে ।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা জেসমিন নাহার বলেন, এ বছর আমরা বাম্পার ফলনের আশা করছি বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে গরম বাতাসে একটু ক্ষতি হলেও তা পরবর্ত্তী কৃষি অফিসের নিবির পর্যবেক্ষন বৃষ্টিতে কভার হয়ে গেছে । মাঠ  পর্য়ায়ে ৪০ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে ।

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

ফুলবাড়ীয়ায় এক দিনের শ্রম বিক্রিতেও কেনা সম্ভব হচ্ছেনা তরমুজ

ফুলবাড়ীয়ায় এক দিনের শ্রম বিক্রিতেও কেনা সম্ভব হচ্ছেনা তরমুজ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এক দিনের শ্রম বিক্রি করেও কেনা যাচ্ছে না এক তরমুজ। ব্যাবসায়ীগন তাদের ইচ্ছেমতো দাম হাকিয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ। প্রচার রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা মৌসুমি এ ফলের স্বাদ নিতে অনেকটাই হিমশিম  খাচ্ছেন  । জানাযায়,  রমজানের আগ মুহুর্তে পিছ হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলে ও রমজানের শুরু থেকই বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। রোজার মাসে দিনশেষে ইফতারিতে প্রায় পরিবারেই থাকে তরমুজ সহ হরেক রকমের মৌসুমী ফল দিয়ে কে না চায় ইফতার ছাড়তে ।  তরমুজের দাম এবার আকাশচুম্বী হওয়ায় অনেক রোজাদার সহ নিম্ন আয়ের মানুষ আজও তরমুজের স্বাদ নিতে পারেননি। কিছু দিন আগেও সর্বত্রই তরমুজ পিছ হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেলেও  এখনকার  চিত্রটা ভিন্ন! প্রতিটি দোকানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করতে দেখাগেছে। উপজেলার কেশরগঞ্জ , শিবগঞ্জ বাজার, বালুঘাট বাজার,  আছিম বাজার সহ বিভিন্ন হাট, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো  কথা কাটা কাটি করছেন ।আবার অনেকে তরমুজ না কিনেই বাড়ী ফিরছেন।

সরেজমিনে কেশরগঞ্জ  বাজারে দেখাযায়  কৃষি খেতে কাজ করে ফাতেমা খাতুন নামের  এক নারী শ্রমিক তার ছেলে কে নিয়ে তরমুজ কিনতে আসছেন। তরমুজ কেজি দরে বেচাকেনা হওয়ায় তিনি ছেলেকে তরমুজ খেতে নিরুৎসাহিত করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন, আর বলছেন, যে টাকা মাইনা ( পারিশ্রমিক)  পাই  এই বছর আর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।

বাজার গুলোতে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি ? যে তরমুজ বিগত দিনে মানুষ পিছ হিসেবে কিনেছে, সেই তরমুজ এখন  কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে যদি ১০/১৫ টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো বলে তারা জানিয়েছেন। এসময় তারা আরও বলেন যারা পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতো অধিক লাভের আশায় তরমুজ সিন্ডিকেট করেছেন  তাদের খুজে বের করে ভোক্তাধিকার আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের  দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারণের দাবি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে এই  কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

ফুলবাড়ীয়ায় রাতের আঁধারে লেবু বাগানের সব গাছ কর্তন

ফুলবাড়ীয়ায় রাতের আঁধারে লেবু বাগানের সব গাছ কর্তন

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় রাতের আঁধারে লেবু বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করলো দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজার টু শুশুতি পাকা রাস্তার পাশে।

এ ঘটনায় ভোক্তাভোগী কৃষক শহিদুল্লাহ ফুলবাড়ীয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এনায়েতপুর বাজারের একটু উত্তর পাশে শুশুতি বাজার পাকা রাস্তার পূর্বপাশে স্থানীয় কৃষক শহিদুল্লাহ ৪ কাঠা জমিতে লেবু চাষ করেছেন। তার লেবু বাগানে রোপণকৃত উন্নতজাতের লেবু গাছগুলিতে সবেমাত্র লেবু ধরেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তা বাজারে তোলা যাবে এমন প্রায় অর্ধশত লেবু গাছ কেটে ফেলেছে দৃর্বৃত্তরা। গাছ গুলি মাটিতে পড়ে আছে। গাছে ধরে আছে অজ¯্র লেবু । যা কয়েকদিন পরেই বিক্রির উপযুক্ত হবে ।

লেবু বাগানের মালিক কৃষক শহিদুল্লাহ বলেন, প্রতিদিনের মত আজ সকালে লেবু বাগানে গেছি আগাছা পরিস্কার করার জন্য। গিয়ে দেখি প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা মাটিতে পড়ে আছে। মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে  বছর দুয়েক আগে লেবুর বাগান করেছি। এখন আমি কি করব? আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে তাই বলে লেবু বাগান কাটলি কেন ? এতে করে তার ২/৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের এলাকায় প্রায় সব জমিতেই লেবু আবাদ হয়ে থাকে। কিন্তুু কোন দিন শুনিনি  এমন ঘটনা। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে নিঃসন্দেহে তারা খারাপ মানুষ। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক , এভাবে ফলধারী লেবু গাছ কাটা ঠিক হয়নি। কৃষক আমাকে মোবাইলে জানিয়েছে।আমি আগামী কাল বাগান দেখতে যাবো। যারা এ কাজ করেছে তারা বিবেকহীন মানুষ ।  

ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোর্শেদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

ফুলবাড়িয়ায় লক ডাউনে প্রথম দিনে ভ্রাম্যমান আদালতের ১৭ মামলা

ফুলবাড়িয়ায় লক ডাউনে প্রথম দিনে ভ্রাম্যমান আদালতের ১৭ মামলা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় লক ডাউন সতর্কতার প্রথম দিনে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৃথক ২টি মোবাইল কোর্টে ১৭ মামলায় ৮হাজার ৮৮৫ টাকা জরিমানা করা হয়। বিজ্ঞ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট ও ইউএনও আশরাফুল ছিদ্দিক এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা ইসলাম। প্রয়োজন ছাড়া ঘুরাফেরা, কোচিং ক্লাশ পরিচালনা, খাবার হোটেলে খাবার পরিবেশন, মাস্ক পরিধান না করা ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বিধান চন্দ্র দেবনাথ, মেডিকেল অফিসার ডা: জয়ন্ত সেন, ফুলবাড়িয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মোশাররফ হোসেন খান, এস আই আব্দুর রাজ্জাক সহ পুলিশ সদস্যরা।


আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক এর নেতৃত্বে বিজ্ঞ আদালতে ১১টি মামলায় ৬হাজার ২শ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা ইসলাম এর নেতৃত্বে বিজ্ঞ আদালতে ৬টি মামলায় ২হাজার ৬৮৫ টাকা জরিমানা করা হয়।


নিউজঃ fulbarianews24

সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

২২বছর ধরে এক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির

২২বছর ধরে এক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের ঘনবসতি ঋষিপাড়ার ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির’ টি গত ২২ বছর যাবত একই কমিটি দিয়ে পরিচালিত, একাই রাজা, গোপন বরাদ্দে লুটপাট ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন দেখা যায়নি। রাজার কন্ট্রোলে থাকা কিছু প্রজা নিয়েই মন্দির পরিচালিত, তাই এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। সময়ের বিবর্তনে অনেক মন্দিরের দৃশ্যমান বহু উন্নয়ন হলেও ভানু ঋষির স্বেচ্ছাচারি ও একক নেতৃত্বের কারণে এ মন্দিরের কোন উন্নয়ন হয়নি। এই মন্দিরের নামে সরকারি-বেসরকারি বহু অনুদান আসলেও উন্নয়ন না করে তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য ভানু ঋষি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।


খোঁজ নিয়ে যায়, ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে ৩টি মন্দির। সবচেয়ে প্রাচীন ও অনেক ভক্ত বা পূজারি নিয়ে ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির’ গড়ে উঠে। কিন্তু এখানকার মানুষজন মত প্রকাশ করতে পারে না। তারা সবাই ভানু ঋষি বা ভানু বাবু নামে পরিচিত একজনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনিই হলেন ঋষিপাড়ার রাজা। দাদা হীরা ঋষি’র ওয়াকফ করা ৪শতক জমিতে গড়ে উঠা মন্দিরটি অযতœ আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। কর্তৃত্ব একা থাকার কারণে সরকারী/বেসরকারী বরাদ্দ কবে আসে, কবে খরচ হয় তার কোন ইয়ত্তা নেই। কৃষি ব্যাংক ফুলবাড়িয়া শাখায় নামমাত্র একটি হিসাব খোলা আছে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি বরাদ্দ থেকে ১টি বিল্ডিং এর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তা এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে না। ভানু বাবুর দাবী তাতে কালী মন্দির স্থানান্তর করা হবে।

ভানু ঋষি বলেন, এটার কমিটি আমরা আমরাই। প্রায় ২০-২২ বছর যাবত একই কমিটি দিয়ে চলছে। গত ২ বছর যাবত আমরা কোন বরাদ্দ পাই না। এমপি স্যার ৫লাখ টাকার একটি বরাদ্দ দিয়ে একটা ঘর করে দিয়েছে কিন্তু সেটা এখনো উদ্বোধন হয়নি।

নাম গোপন রাখার শর্তে একজন বলেন, ওখানে অন্য কারো মতামতের কোন দাম নাই। যার কারণে ঐ মন্দির নিয়া কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। অনেক পরে মন্দিরগুলো অনেক উন্নত হলেও ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দিরটির উন্নয়র এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।