বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

ফুলবাড়ীয়ায় শ্রমিক সংকট নিজেরাই কাটছে নিজের ক্ষেতের ধান

মাঠ ভরা পাকা ধান প্রচন্ড রোদ । ধান কাটার শ্রমিকের অভাব । নিজেদের ধান নিজেদেরই কাটতে হচ্ছে । তাই তো কাস্তে হাতে ধানের মাঠে কৃষক । রোজা আর খড়তাপে  ক্লান্ত অবসন্ন শরীর , তবুও শরীর থেকে ঝড়ছে ঘাম। ঘামের লোনা পানিতে শরীর লবণাক্ত।এমনি অবস্থায়ও  বাড়ীর আঙ্গীনায় নতুন ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত  ফুলবাড়ীয়ার কৃষাণ কৃষাণীরা । উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ধান কাটতে ব্যস্ত বসে নেই কৃষাণীয় । লকডাউন থাকায় দূর দূরান্ত থেকে আসতে পারছে না ধান কাটার শ্রমিক । এছাড়া যে কোন সময় তেড়ে আসতে পারে কাল বৈশাখী ঝড় এ আতংকে কৃষক তাদের  নিজেদের ক্ষেতের ধান নিজেদেরই কাটতে হচ্ছে।  কৃষককে রোজা রেখে অবসন্ন দেহে সকাল বেলা মাঠে যেতে হচ্ছে কাস্তে হাতে । ধান কাটা মাড়াই শুকানো ও সংরক্ষণে কৃষণীরাও ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে । ঘরের পিছনে বাড়ীর আঙ্গীনায় মৃদু বাতাসে বোরো ধান পরিস্কার করছে তারা । এবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বাম্পার ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস । এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হযে গেছে। শ্রমিকে অভাবে ধান কাটতে বিলম্ভ হচ্ছে । উপজেলার নাওগাও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, আমি এ বছর ৩২ কাঠা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি কামলার (শ্রমিক) এর অভাব তাই তো স্কুল পড়–য়া ছেলেকে সাথে নিয়েই  নিজেদের ক্ষেতের ধান কাটতেছি। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ধান কাটার শ্রমিকে সংকট থাকায় ধান কাটতে দেরী হচ্ছে নিজেই কাটছি ধান ।


বড়বিলা পাড়ের কৃষাণী খুকী আক্তার বলেন, কামলা (ধান কাটার শ্রমিক) পাওয়া যায় না ,এক কাঠা ক্ষেতের ধান কাটতে ৮০০ টাকা লাগে  ,বেশী দামে কামলা রাখছে খরচ পোষায় না তাই তো আব্বুর কাজে সহযোগীতা করছি ।  বৈলাজান গ্রামের দিন মূজুর কামাল হোসেন বলেন,  যে রোদ তার মধ্যে আবার রোজার দিন তাই দিন মুজুরে কাজ করলে পোষায় না, তাই তো চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছি ,প্রতি কাঠা ধান কাটছি ৭০০থেকে ৮০০ টাকায় বাপ ছেলে দুইজনে সাড়াদিনে ৩/৪ কাঠ জমির ধান কাটতে পারি ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর উপজেলায়  ২১হাজার ১২৫হেক্টর জমিতে  বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে যা থেকে  ১লক্ষ ২৯ হাজার৯১৮ মেঃ টন ধান উৎপাদনের আশা হচ্ছে ।  বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসের কারনে কিছু জমিতে চিটা হলেও  বাম্পার ফলসের সম্ভবনা রয়েছে ।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা জেসমিন নাহার বলেন, এ বছর আমরা বাম্পার ফলনের আশা করছি বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে গরম বাতাসে একটু ক্ষতি হলেও তা পরবর্ত্তী কৃষি অফিসের নিবির পর্যবেক্ষন বৃষ্টিতে কভার হয়ে গেছে । মাঠ  পর্য়ায়ে ৪০ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে ।

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন