টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এবার শিক্ষা সফরের গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি আঞ্চলিক সড়কের মালিরচালা এলাকায় বনভোজনের তিনটি বাসে ডাকাতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কের পাশের গজারি বনের গাছ কেটে তা রাস্তায় ফেলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে নাটোর যাচ্ছিলেন। স্কুলটির শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম রুবেল জানান, সোমবার রাতে ফুলবাড়িয়ার সোয়াইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। রাত ৩টার দিকে সাগরদীঘি বাজার পার হয়ে মালিরচালা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতদলের ১৫-২০ জন সদস্য বনভোজনের তিনটি গাড়ির গতিরোধ করে।
ডাকাতরা গাড়িতে উঠে মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সব মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলের ল্যাব সহকারী সাখাওয়াত হোসেন রবিনকে আঘাত করে ডাকাতরা। পরে ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের গজারি বনে পালিয়ে যায়।
ঘাটাইলে ডাকাতির এই ঘটনা নতুন নয়। দুই দিন আগে (২১ ফেব্রুয়ারি) একই স্থানে মালবাহী একটি ট্রাকে ডাকাতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকা বাসিন্দাদের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গত চার মাসে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার সাতটি ইউনিয়নের ১০টি স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কখনো ঘরের দরজা ভেঙে বসত বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে ডাকাতদলের সদস্যরা। আবার কখনো সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রাক বা বাস আটকে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল। বাধা দিলে ডাকাতের মারধরের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
প্রতিনিয়ত এসব ঘটনার কারণে ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এই ডাকাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
ঘাটাইলের পাহাড়িয়া এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন।