এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উপাচার্যের বক্তব্যের সঙ্গে আমিও সহমত। কারণ ৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাস শুরুর পর প্রায় দেড় মাস চলে গিয়েছে। অনেক বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সামনে আরেকটা সেশনের ভর্তির সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদে সর্বমোট এক হাজার নব্বইটি আসনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুইবার মেধাতালিকা প্রকাশ ও কোটায় ভর্তির পরও প্রায় দুই শতাধিক আসন ফাঁকা আছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
তবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ জানাচ্ছেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আফজালুর রহমান আবির বলেন, এই সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অন্যায়। আমি মোট চারটি ইউনিটে আবেদন করেছি ১৬০০ টাকা দিয়ে। ভর্তি কার্যক্রম চালু না রাখায় একটি ইউনিটে অপেক্ষমাণ তালিকার প্রথমে থেকেও ভর্তি হতে পারছি না। অথচ আসন খালি পড়ে আছে। আমাদের কষ্টের টাকার কি কোনো মূল্য নেই?
তিনি আরও বলেন, অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে এখনো ভর্তি নিচ্ছে সেখানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র দুইটি মেধাতালিকা দিয়েই সিট খালি রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরেক ভর্তিচ্ছু সুমন মণ্ডল বলেন, আমাদের সঙ্গে এটি চরম অন্যায় করা হচ্ছে। প্রথমে গুচ্ছ কমিটি ১ হাজার ২০০ করে টাকা নিলো, এরপর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটপ্রতি ৪০০ করে ফি নিলো। তারা যদি সিট ফাঁকা রেখে দেয়, আমাদের সুযোগ না দেয় তাহলে টাকাগুলো ফিরিয়ে দিক।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে তাজিম আহাম্মেদ নামে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করে এই জায়গায় এসে ভুল করবেন না। আপনাদের কাছে এটা একটা সিট মনে হলেও এগুলো একেকটা স্বপ্ন, একেকটা জীবন।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশন হেল্প লাইন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকটি বিভাগ যেমন দর্শন, ফোকলোর, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগে প্রায় অর্ধেকের মতো সিট খালি আছে। এর আগে যারা ভাইভা দিয়েছে তাদের ভর্তি নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একদিনেই সাবজেক্ট দেওয়া ও ভর্তি সম্পন্ন করা যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :