ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের ঘনবসতি ঋষিপাড়ার ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির’ টি গত ২২ বছর যাবত একই কমিটি দিয়ে পরিচালিত, একাই রাজা, গোপন বরাদ্দে লুটপাট ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন দেখা যায়নি। রাজার কন্ট্রোলে থাকা কিছু প্রজা নিয়েই মন্দির পরিচালিত, তাই এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। সময়ের বিবর্তনে অনেক মন্দিরের দৃশ্যমান বহু উন্নয়ন হলেও ভানু ঋষির স্বেচ্ছাচারি ও একক নেতৃত্বের কারণে এ মন্দিরের কোন উন্নয়ন হয়নি। এই মন্দিরের নামে সরকারি-বেসরকারি বহু অনুদান আসলেও উন্নয়ন না করে তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য ভানু ঋষি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
খোঁজ নিয়ে যায়, ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে ৩টি মন্দির। সবচেয়ে প্রাচীন ও অনেক ভক্ত বা পূজারি নিয়ে ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দির’ গড়ে উঠে। কিন্তু এখানকার মানুষজন মত প্রকাশ করতে পারে না। তারা সবাই ভানু ঋষি বা ভানু বাবু নামে পরিচিত একজনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনিই হলেন ঋষিপাড়ার রাজা। দাদা হীরা ঋষি’র ওয়াকফ করা ৪শতক জমিতে গড়ে উঠা মন্দিরটি অযতœ আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। কর্তৃত্ব একা থাকার কারণে সরকারী/বেসরকারী বরাদ্দ কবে আসে, কবে খরচ হয় তার কোন ইয়ত্তা নেই। কৃষি ব্যাংক ফুলবাড়িয়া শাখায় নামমাত্র একটি হিসাব খোলা আছে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি বরাদ্দ থেকে ১টি বিল্ডিং এর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তা এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে না। ভানু বাবুর দাবী তাতে কালী মন্দির স্থানান্তর করা হবে।
ভানু ঋষি বলেন, এটার কমিটি আমরা আমরাই। প্রায় ২০-২২ বছর যাবত একই কমিটি দিয়ে চলছে। গত ২ বছর যাবত আমরা কোন বরাদ্দ পাই না। এমপি স্যার ৫লাখ টাকার একটি বরাদ্দ দিয়ে একটা ঘর করে দিয়েছে কিন্তু সেটা এখনো উদ্বোধন হয়নি।
নাম গোপন রাখার শর্তে একজন বলেন, ওখানে অন্য কারো মতামতের কোন দাম নাই। যার কারণে ঐ মন্দির নিয়া কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। অনেক পরে মন্দিরগুলো অনেক উন্নত হলেও ‘ফুলবাড়িয়া দূর্গামন্দিরটির উন্নয়র এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
- Tags:
- ফুলবাড়ীয়া
আপনার মতামত লিখুন :