রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০

ময়মনসিংহে ফোন করলেই বাড়িতে আসছে চাল-ডাল-তরকারি


নিদিষ্ট ফোনে কল করে চাহিদা জানাচ্ছেন নাগরিকরা। পরদিন সেই চাহিদা অনুযায়ী বাজার পৌঁছে যাচ্ছে নাগরিকদের বাড়িতে। এতে কোনো বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে না। বাজার দর অনুযায়ীই মালামাল পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে। 
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের এ দুঃসময়ে প্রশংসনীয় এমন উদ্যোগটি নিয়েছে ময়মনসিংহের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যানিটি ফর পোর পিপল ইন বাংলাদেশ (এইচপিপিবি)। সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। মাঠ পর্যায়ে পুরো কাজটি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ বাবু। গত পাঁচ দিনে প্রায় হাজারের ওপর পরিবারের কাছে মালামাল পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ বাবু বলেন, এবার করোনা সমস্যা শুরুর আগেই তারা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করার বিষয়ে সিদ্বান্ত নিয়েছিল। যখন দেশে লক ডাউন হলো তখন তারা সিদ্বান্ত নিল যে মানুষের বাসায় বাজার পৌঁছে দেবে। সেসব দ্রব্যের মূল্য হবে বাজারদর অনুযায়ী। অর্থাৎ এতে তারা কোনো লাভ করবেন না। সে অনুযায়ী তারা ফেসবুকে নাম্বার দিলেন। লোকজনকে যোগাযোগের অনুরোধ জানালেন। এ কাজের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হলো জুবিলী ঘাটের পৌর সুপার মার্কেটের পাশে একটি কম্পিউটার সেন্টারে। ২৩ তারিখ থেকে শুরু হলো কাজ। কাজে যুক্ত হলেন ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবী। মালামাল পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা শুরু হলো মিনি ট্রাক, ভ্যান, সাইকেল ও রিকশা।

লোকজন ফোন দিয়ে তাদের চাহিদা দেন। পরের দিন শহরের মেছুয়া বাজার থেকে মালামাল কিনে তা নাগরিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। এ কাজে নাগরিকদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি টাকা নেয়া হয় না। সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু সংগঠনটিকে সার্বিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। বাজার থেকে যেন ন্যায্য মূলে মালামাল কেনা যায় এজন্য চেম্বার অফ কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা ভ’মিকা রাখছেন। তরিতরকারী, চাল, ডাল ও তেল পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তবে মাছ কিংবা মাংস দেয়া হচ্ছে না।

এ সংগঠনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে চাল, ডাল তেল কিনেছেন মুকুল নিকেতন স্কুলের সহকারী শিক্ষক কাজী আব্দুর রাজ্জ্বাক। তিনি বলেন, এ সার্ভিসটি খুবই ভালো। ওরা বাসায় মালামাল পৌঁছে দিয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী টাকা নিয়েছে। কোনো বাড়তি টাকা নেয়নি। শহরের সিকেঘোষ রোড এলাকার গৃহিনী শাহানারা বেগম বলেন, তিনিও এদের কাছ থেকে আলু, বেগুন, লেবু নিয়েছেন। তারা রশীদ দিয়ে মালামাল পৌঁছে দিয়েছে।
এ সংগঠনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে চাল, ডাল তেল কিনেছেন মুকুল নিকেতন স্কুলের সহকারী শিক্ষক কাজী আব্দুর রাজ্জ্বাক। তিনি বলেন, এ সার্ভিসটি খুবই ভালো। ওরা বাসায় মালামাল পৌঁছে দিয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী টাকা নিয়েছে। কোনো বাড়তি টাকা নেয়নি। শহরের সিকেঘোষ রোড এলাকার গৃহিনী শাহানারা বেগম বলেন, তিনিও এদের কাছ থেকে আলু, বেগুন, লেবু নিয়েছেন। তারা রশীদ দিয়ে মালামাল পৌঁছে দিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ বাবু বলেন, সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা এ সার্ভিস দিচ্ছেন। ময়মনসিংহ শহরে প্রতিদিন তারা ২শ পরিবারকে এ সার্ভিস দিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন