শ্রীলঙ্কার রক্তবন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে
শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ, তিনটি অভিজাত হোটেল, কলম্বো এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৫ জনে দাঁড়িয়...
https://www.fulbariatoday.com/2019/04/news-121.html
শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ, তিনটি অভিজাত হোটেল, কলম্বো এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৫ বিদেশি নাগরিক। নিহত বিদেশি নাগরিকদের বেশিরভাগই ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।
হামলার পর দেশ জুড়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ। ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৩ পুলিশ কর্মকর্তা।
ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় হামলা হয়। দেশটির পুলিশের প্রধান বলেছেন, তিনি এই হামলার ব্যাপারে ১০দিন আগেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রবিবার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
রাজধানী কলম্বো-সহ পুরো দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনটি গীর্জা ও বিলাসবহুল তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলায় ১৮৫ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির রাজধানীতে আরো দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। কলম্বোর কাছের দেহিওয়ালা এলাকায় সপ্তম বিস্ফোরণে অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপি।
এছাড়া অষ্টম বিস্ফোরণটি রাজধানীর ডেমাটাগোদার একটি আবাসন এলাকায় ঘটেছে। প্রথম হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসেও হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ প্রধান।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি রবিবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার পেছনে ইসলামি চরপমপন্থী আত্মঘাতী বোমারুরা জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।