এই মৌসুমের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন কোচ জিনেদিন জিদান আর রিয়ালের প্রাণভোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ভায়ানক বিপদের মধ্যে অবশেষে ফের জিদানকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে আবারও রিয়ালের ডাগআউটে নিয়ে এসেছেন সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুরু তো আসলেন, গুরুর দেখাদেখি জুভেন্টাস থেকে রোনালদোও কি চলে আসবেন?
আড়াই বছরের প্রথম মেয়াদে তিনটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতানোর পর রিয়ালকে বিদায় জানান জিদান। এরপর তার পথ ধরেন রোনাল্ডো। লস ব্লাঙ্কোদের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান তিনি।
দুই মহারথী চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে রিয়াল। ধারাবাহিক বিরতির হারে টালমাটাল হয়ে পড়ে গ্যালাকটিকোরা। ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমের তিন শিরোপার (চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা, কোপা ডেল রে) আশা কার্যত শেষ হয়ে গেছে তাদের।
এ শোচনীয় অবস্থা থেকে উতরাতে জিদান ফের কোচ বানিয়েছে রিয়াল। ২০২২ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্লাবটি। দায়িত্ব নিয়ে প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ফরাসি কিংবদন্তি। বেশ কিছু পরিবর্তন আনার আভাস দিয়েছেন তিনি।
সমর্থকদের প্রত্যাশা, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফের জমে উঠবে জিদান-রোনাল্ডো জুটি। প্রিয় দলও ফিরে পাবে হারানো স্বর্ণোজ্জ্বল দিনগুলো। স্বাভাবিকভাবেই তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা, সিআর সেভেনের ফেরার সম্ভাবনা কতটা?
রিয়ালের সর্বকালের সেরা গোলদাতা রোনাল্ডো এখন জুভেন্টাসে। জবাবে জিদান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে দলে ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে এখনই ভাবছেন না বলে জানান। আবার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেননি।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রিয় ছাত্রকে নিয়ে কোচের কৌশলী উত্তর, এখন এ নিয়ে আমরা কথা না বলি। আসলে আমি তা নিয়ে ভাবছি না। সামনে আরও ১১টি ম্যাচ আছে আমাদের। এরপর দেখা যাবে আগামী বছর কি হয়। আমরা সবাই অবগত,এ ক্লাবের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় রোনাল্ডো।
জিদান যোগ করেন,এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্লাবে প্রত্যাবর্তন। আমি এখন আসন্ন ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবছি। পরে এ নিয়ে চিন্তা করার সময় পাব। তবে এটুকু বলতে পারি, সঠিক ফুটবলারকে আমরা আসছে মৌসুমের পরিকল্পনায় রাখব।
আপনার মতামত লিখুন :