বিমান বিধ্বস্ত: মৃত্যুর আগে শেষ স্ট্যাটাসে যা লিখেছিল পিয়াস
ভ্রমণই ছিল তার নেশা। তাই নিজের সম্পর্কে তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের প্রোফাইলে লিখেছিলেন, ‘ভ্রমণই আমার আবেগ। আমি...
https://www.fulbariatoday.com/2018/03/plane-crashed-what-was-written-in-the-last-status-before-death.html
ভ্রমণই
ছিল তার নেশা। তাই নিজের সম্পর্কে তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে তার নিজের প্রোফাইলে লিখেছিলেন, ‘ভ্রমণই আমার আবেগ। আমি আমার দেশ
এবং বিদেশে ভ্রমণ ভালোবাসি।’ কিন্তু এই মানুষটি আর ভ্রমণ করবেন না পৃথিবীর
বুকে। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ভ্রমণ শুরু করেছেন মহাকালের পথে।
পিয়াস রায় বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তার বাবা স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক।
পিয়াস গোপালগঞ্জের শেখ
সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এর আগে
পিয়াস বরিশাল জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন।
১২ মার্চ, সোমবার নেপালের রাজধানী
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খেলার মাঠে বিধ্বস্ত
হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রী ছিলেন পিয়াস। পাঁচ দিনের এক প্লেজার
ট্যুরে নেপাল সফরে গিয়েছিলেন তিনি।
নেপালের উদ্দেশ্যে যাবার যাবার আগে বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে
ফেসবুকে জীবনের শেষ স্ট্যাটাস দেন পিয়াস।ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘পাঁচ
দিনের জন্য বিদায় আমার স্বদেশ, এভারেস্টের দেশের ডাক শুনতে পাচ্ছি।’
এই
স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময় পরই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে
যাওয়া ইউএস বাংলার বিএস-২১১ মডেলের ওই বিমানটিতে ওঠেন পিয়াস। দুপুর ১২টা
৫১মিনিটে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ
করে ওই বিমানটি। এসময় বিমানটিতে চার জন ক্রু ছিল।
পরবর্তীতে
বিমানটি নেপালের স্থানীয় সময় বেলা দুইটা ২০ মিনিটে নেপালের ত্রিভুবন
বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে পিয়াস রায়ও রয়েছেন।
পিয়াস
শুধু ভ্রমণেই নয়, সাংগাঠনিক কাজেও দক্ষ ছিল। পিয়াস গোপালগঞ্জের প্রথম আলো
বন্ধুসভার সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ সায়েরা খাতুন
মেডিকেল কলেজের শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।