সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পরও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইস্টার্ন ঘৌটা এলাকায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। অনতিবিলম্বে ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব পাসের কয়েক ঘণ্টার মাথায় নতুন করে হামলা শুরু হয়। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। অস্ত্রবিরতি মেনে চলার জন্য সিরিয়ার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি
ইস্টার্ন ঘৌটায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। ২০১৩ সাল থেকে এলাকাটি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত এটিই সর্বশেষ এলাকা যেটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকাটির পুনদর্খল নিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে অভিযান জোরালো করে সরকারি বাহিনী। এতে শত শত মানুষ হতাহত হয়। সম্প্রতি ১ হাজার ২৪৪ সম্প্রদায়ের ৫৬ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার স্বার্থের কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাব আনে কুয়েত ও সুইডেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে রাশিয়ার স্বার্থগত বিরোধে সেই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি পিছিয়ে যায় কয়েকবার। অবশেষে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরীয় অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন পায়। ত্রাণ ও চিকিৎসা সরবরাহে ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয় সংস্থাটির স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্য রাষ্ট্রই।
ব্রিদ্রোহী ও ত্রাণ সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও ইস্টার্ন ঘৌটা এলাকায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত আছে। নতুন করে এ হামলার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। বিদ্রোহীদের একটি দলের দাবি, তারা কয়েকজন সরকারি সেনাকে হত্যা করেছে। ত্রাণ সংস্থা দ্য সিরিয়ানআমেরিকান মেডিক্যাল সোসাইটি বিবিসিকে জানায়, ওই এলাকার একটি হাসপাতালে আগত রোগীদের কয়েকজনের মধ্যে রাসায়নিক হামলার শিকার হওয়ার আলামত রয়েছে। এক শিশু মারা গেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাটইটস জানায়, তারাও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে, তবে এটি গ্যাস হামলা কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
collected
আপনার মতামত লিখুন :