বৈরী আবহাওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জ...
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে চলাচল করছে না মেট্রোরেল। এতে বিপাকে পড়েছে ব্যবহারকারীরা। অনেকেই যাতায়াতের জন্য এসে বন্ধ গেট দেখে ফিরে গেছেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে সোমবার সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। কখন চলাচল শুরু হবে তা নিশ্চিত নয়। মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।’
দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে গত শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে সোয়া এক ঘণ্টা পর চলাচল শুরু হয়।
এদিকে, সোমবার সকালে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর
মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা
ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় পায়রা ও
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা,
বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর
মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালে দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। রোববার রাতে আবহাওয়া
অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন,
উপকূল এলাকায় তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাগুলো ব্যাপকভাবে
প্লাবিত হয়েছে।