ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ ভবন
বাংলাদেশে দিন দিন ভূমিকম্পের প্রবণতা বেড়েই চলছে। তবে ভূমিকম্পের প্রবণতা বাড়লেও নেই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্স...
https://www.fulbariatoday.com/2019/03/news70.html
বাংলাদেশে দিন দিন ভূমিকম্পের প্রবণতা বেড়েই চলছে। তবে ভূমিকম্পের প্রবণতা বাড়লেও নেই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে এক ভয়ংকর তথ্য। তাদের মতে, দেশের ৬০ শতাংশ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ।
ছোট ছোট ভূমিকম্পকে বড় দুর্যোগের পূর্বাভাস আখ্যায়িত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রস্তুতিই জরুরি। পুরানো ভবন সংস্কার করার পাশাপাশি বুয়েটের স্থপতিরা বলছেন, বেশী রড দিয়ে নতুন ভবনের পিলার ও বিম এমনভাবে বানাতে হবে, যেটা মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না।
গত দুই তিন বছর ধরে প্রায়ই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪ থেকে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের মতে, ভূতাত্ত্বিকভাবেই এ অঞ্চল এখন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, আমাদের এখানে টেকটনিক প্লেট আছে। সেখানে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হয়। পুরো বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের উচিত সতর্ক থাকা।
বুয়েট বলছে, প্রস্তুতি হিসেবে প্রথমেই পুরানো ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনীয় করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি মাটির গুণাগুণ যাচাই করে নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশী রড ব্যবহারসহ ভূমিকম্প সহনীয় করা অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিশেষ করে পিলারে রডের শেষ ও শুরুর অংশে এবং বিমের পুরো অংশে বেশি করে রড দিলে ভূমিকম্পের সময় ভবনগুলো মচকাবে কিন্তু ভেঙে পড়বে না। উদাহরণ হিসেবে তারা জাপানের ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ড মেহেদী মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ভবনের রড এমনভাবে দিতে হবে যেনো তা দুলবে কিন্তু ভেঙ্গে পড়বে না। প্রতি স্কয়ার ফিটে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ করলেই মজবুত করে বানানো সম্ভব।’
ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষিত করারও পরামর্শ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট।
অধ্যাপক ড মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নির্ভর করে সেখানকার আবাসন ব্যবস্থা কেমন সেখানকার রাস্তাঘাট কেমন যে স্থাপনাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো সংস্কার করা। যারা বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেনি তাদের চিহ্নিত করা উচিত। ‘