বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২

অস্থিরতা কাটছে না ডলারের বাজারে

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এ কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি কমানো ও ডলারের সরবরাহ বাড়াতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। একই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপরতা বাড়িয়েছে।


জানা গেছে, ব্যাংকগুলো এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে যেন বিসি সিলিং তথা আমদানি পর্যায়ে ঘোষিত দরের অতিরিক্ত দাম না দেয়- এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিসি সিলিংয়ের বর্তমান রেট ৮৮ টাকা। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি ধরে কিনছে। আর ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকা দর পাচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা কার্যকর করতে গেলে অস্থিরতা বেড়ে যাবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ব্যাংকগুলোর মধ্যে। তাঁরা মনে করছেন, এতে রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ডলারের দর, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

আমদানি ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি, একই সময়ে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে ডলারের দর ব্যাপক বেড়েছে। আন্তঃব্যাংক দর ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থাকলেও গত কয়েক দিনে অনেক ব্যাংক প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে ৯৭ টাকা পর্যন্ত দরে। আর খোলাবাজারে ডলারের দর ৯৮ থেকে ৯৯ টাকা।

হঠাৎ করে এভাবে দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে পরিদর্শনে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ৫ হাজার ডলারের বেশি রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পেতে ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল বুধবার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে ৫ কোটি ডলার। আগের দিন ১২ কোটি ৫০ লাখ এবং সোমবার ১৩ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে বিক্রির পরিমাণ ঠেকেছে ৫৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন