শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

ফুলবাড়িয়া-শিবগঞ্জ সড়কের ৭ কিলোমিটারে ১৪ গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার)

ফুলবাড়িয়া-শিবগঞ্জ হাট কালির বাজার সড়কের বাদশা মার্কেট পর্যন্ত সাত কিলোমিটার অংশে ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) আছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) যখন সড়কটি সংস্কার করে তখন অনুমতি ছাড়াই গতিরোধকগুলো তৈরি করে স্থানীয় লোকজন। এসব গতিরোধকের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা। তাদের মতে, এত বেশি গতিরোধকের কোনো প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমতলী, চানাচুর মিল, সুবের দোকান, ইন্দিরাপাড়, ছলির বাজার, পাঞ্জানা, নাটুয়াপাড়া, ময়নার বাজার, বাদশার মার্কেট এলাকায় ওই সব গতিরোধক তৈরি করা হয়েছে। একটি গতিরোধকের আগে বা পরে সতর্কতামূলক কোনো সাইনবোর্ড নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় সড়কের পাশে বসে মাইকিং করে মসজিদ-মাদরাসার জন্য টাকা তোলার জন্য অস্থায়ী তিন থেকে চারটি গতিরোধক তৈরি করা হয়েছে।  
সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গতিরোধকের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি সময় লাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে। কিছু কিছু গতিরোধক বোঝার কোনো উপায় নেই। যে কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।’
গতিরোধকগুলো দ্রুত ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন বাদশা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই চালক আব্বাস আলী ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সড়কে এসব গতিরোধকের কারণে এক ধরনের ভয় কাজ করে। এ ছাড়া গতিরোধকের সামনে গাড়ি থামানোর সময়, বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকরা পেছন থেকে অনেক সময় সজোরে ধাক্কা মারেন।’ 
উপজেলা প্রকৌশলী সালমান রহমান রাসেল বলেন, ‘গতিরোধকগুলো স্থানীয় লোকজন তৈরি করেছে। এসব গতিরোধক ভেঙে ফেলার জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় বলা হয়েছে।’
@ ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন