শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী


সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়ন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। নৌপরিবহন সচিব এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে যে ৪১ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তা অত্যন্ত যুগোপযোগী ও সুদূরপ্রসারী হয়েছে। এর মধ্যে যে ২টি উন্নয়ন প্রস্তাবনা সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উন্নয়ন প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০ থেকে ২৫ বছর পর ময়মনসিংহ শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে সমগ্র দেশে নেতৃত্ব দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
আজ (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন কে এম খালিদ ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল শিক্ষা ও শিল্পায়নে পিছিয়ে রয়েছে-যেটি আশাপ্রদ নয়। এ অঞ্চলে মৎস্য ও কুমিরের খামার ছাড়া তেমন কোনো শিল্প নেই বললেই চলে। অন্যদিকে সারাদেশে শিক্ষার হার যেখানে শতকরা ৭৪ ভাগ, সেখানে ময়মনসিংহ অঞ্চলে শিক্ষার হার মাত্র ৪১ ভাগ।’
মোস্তাফা জব্বার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চল আর পশ্চাৎপদ থাকবে না আর সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে আগামী প্রজন্মকে। তিনি বলেন, সামনের যুগ ডিজিটাল রূপান্তরের যুগ আর এতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে মেধাবীরা। আশা করছি, এ অঞ্চলের মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে আগামীতে ময়মনসিংহ ডিজিটাল রূপান্তরে সমগ্র দেশে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. ফসিউল্লাহ।
সম্মেলনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন : প্রেক্ষাপট বৃহত্তর ময়মনসিংহ’ শীর্ষক উপস্থাপনা পেশ করেন নৌপরিবহন সচিব ও বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. আবদুস সামাদ।
বার্ষিক ও আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী ও কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট শাহিদা খান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কারবিষয়ক সচিব ড. শামসুল আরেফিন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, নেত্রকোনা জেলা সমিতির সভাপতি মো. আবদুল হান্নান খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন ও সাবেক সচিব হুমায়ূন খালেদ।

বিজ্ঞাপন

test ads2


শেয়ার করুন